কুতুবদিয়ায় সৈকতে চলছে ঝাউবন নিধন, গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা

বিভাগীয় প্রতিবেদক। | জুন ২১, ২০২৫ | ০৭:০৬
ছবি: প্রতিবেদক।

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার)

কক্সবাজারের উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার সৈকতে চলছে ঝাউগাছ নিধন ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব। সাগরের পাড়ে বেড়ে উঠা প্রাকৃতিক ঝাউবনের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।

সাম্প্রতিক সময়ে কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের সৈকত এলাকায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সাগর পাড়ে ঝাউগাছ কেটে সেখানে নৌকা তৈরির কারখানা, গ্যারেজ, হাট ইত্যাদি স্থাপন করছেন। নির্মূল করা হচ্ছে প্রাকৃতিক ঝাউবন, যা একদিকে পরিবেশের জন্য হুমকি, অন্যদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্টেরও কারণ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের চোখের সামনে এসব কাজ চললেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরকারি জমি দখল করে প্রকাশ্যে ঝাউগাছ কাটা হচ্ছে এবং দিনের পর দিন সেখানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠছে। সাগরপাড়ের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এখন প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কুতুবদিয়ার উপকূলীয় এলাকায় ঝাউগাছের ঝোপ প্রাকৃতিকভাবে বালু রক্ষা করে এবং জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় থেকে ভূমি ও জনপদকে রক্ষা করে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ গাছগুলো নির্বিচারে কাটা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) আবদুল্লাহ মো. মেহেদী বলেন, “কুতুবদিয়ার সৈকতে ঝাউবন কেটে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে যারা স্থাপনা গড়ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঝাউগাছ নিধন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।”

পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, এমন অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে কুতুবদিয়ার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এর ভয়াবহ ফল ভোগ করতে হবে পুরো উপকূলবাসীকে।

ট্যাগঃ

সূত্র: ইন্টারনেট।