পেকুয়ায় সংরক্ষিত বনায়নের গাছ কেটে সাবাড়,জানে না বনবিভাগ
বিভাগীয় প্রতিবেদক। | অক্টো ১৬, ২০২৫ | ১০:১০
ছবি: প্রতিবেদক।
পেকুয়া নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সংরক্ষিত বনায়নের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এ ধরনের অপরাধযজ্ঞে বনবিভাগ জড়িত থাকার কথাও রয়েছে।
১৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীলখালী তারাবনিয়ারপাড়া সড়কের পাশের বাগানটিতে গাছ কাটার দৃশ্য। এসব গাছের মধ্যে বেশির ভাগই আকাশমণি। তবে কাঁঠালসহ নানা প্রজাতির ফলদ গাছও রয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শীলখালী ইউনিয়নের তারাবনিয়া পাড়া এলাকার তিন একর জায়গা জুড়ে প্রায় ৩ হাজারের অধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় মৃত এয়ার মোহাম্মদের ছেলে আনিসুল হক ও তার ছেলে মোঃ নয়ন, মোঃ শামা নামের স্থানীয় তিন বাসিন্দা।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পহরচাঁদা বিটের আওতাধীন শিলখালী তারাবনিয়া এলাকার ফরিদুল হকের মালিকানাধীন সামাজিক বনায়নের তিন একর জায়গার ২ হাজারের অধিক পাহাড়ি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মাত্র ৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন আনিসুল হক। সে বাগানের গাছ কেটে ট্রলিভর্তি করে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে। আবার কয়েকজন শ্রমিক গাছের পাতা ও গাছের গুঁড়ালি সরানোর কাজ করছেন। এমন সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে পালিয়ে যান শ্রমিকরা।
এ সময় এক শ্রমিক জানান, গত তিন দিন ১০ জন শ্রমিক প্রায় ২ হাজারের অধিক গাছ কেটেছেন। এখন সেগুলো কেটে সাইজ করছেন। এখানে গাছ কাটতে আনিসুল রহমান তাঁদের নিয়ে এসেছেন। শুনেছেন তিন লাখ টাকায় এই গাছগুলো কিনেছেন আনিস।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, তিন একরের এ বাগানটি আনিস ও তাঁর ছেলেরা কিনেছেন ফরিদুল হক থেকে। তাঁরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বনের গাছ কেটে বিক্রি করেন। প্রায় প্রতিদিনই ওই এলাকার গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। আর এ সুযোগে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। এসবের পিছনে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে স্থানীয়দের।
অভিযোগের বিষয়ে আনিস বলেন, বাগানের গাছ গুলো আমি কিনে ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিক্রি করতেছি। বনবিভাগের সাথে আমাদের বুঝাপরা হয়েছে।
এ বিষয়ে বারবাকিয়া রেঞ্জের পহরচাঁদা বিট কর্মকর্তা সাঈদী জানান, বিষয়টি জানি না বনবিভাগের জায়গার গাছ কাটলে সরেজমিনে গিয়ে অবস্থা দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিকে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান বলেন আমি ট্রেনিং করতে এসেছি বিষয়টি জানি না তবে বিট কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দেখি কি হয়েছে।
পেকুয়ায় সংরক্ষিত বনায়নের গাছ কেটে সাবাড়,জানে না বনবিভাগ
পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সংরক্ষিত বনায়নের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এ ধরনের অপরাধযজ্ঞে বনবিভাগ জড়িত থাকার কথাও রয়েছে।
১৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীলখালী তারাবনিয়ারপাড়া সড়কের পাশের বাগানটিতে গাছ কাটার দৃশ্য। এসব গাছের মধ্যে বেশির ভাগই আকাশমণি। তবে কাঁঠালসহ নানা প্রজাতির ফলদ গাছও রয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শীলখালী ইউনিয়নের তারাবনিয়া পাড়া এলাকার তিন একর জায়গা জুড়ে প্রায় ৩ হাজারের অধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় মৃত এয়ার মোহাম্মদের ছেলে আনিসুল হক ও তার ছেলে মোঃ নয়ন, মোঃ শামা নামের স্থানীয় তিন বাসিন্দা।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, পহরচাঁদা বিটের আওতাধীন শিলখালী তারাবনিয়া এলাকার ফরিদুল হকের মালিকানাধীন সামাজিক বনায়নের তিন একর জায়গার ২ হাজারের অধিক পাহাড়ি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মাত্র ৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন আনিসুল হক। সে বাগানের গাছ কেটে ট্রলিভর্তি করে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে। আবার কয়েকজন শ্রমিক গাছের পাতা ও গাছের গুঁড়ালি সরানোর কাজ করছেন। এমন সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে পালিয়ে যান শ্রমিকরা।
এ সময় এক শ্রমিক জানান, গত তিন দিন ১০ জন শ্রমিক প্রায় ২ হাজারের অধিক গাছ কেটেছেন। এখন সেগুলো কেটে সাইজ করছেন। এখানে গাছ কাটতে আনিসুল রহমান তাঁদের নিয়ে এসেছেন। শুনেছেন তিন লাখ টাকায় এই গাছগুলো কিনেছেন আনিস।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, তিন একরের এ বাগানটি আনিস ও তাঁর ছেলেরা কিনেছেন ফরিদুল হক থেকে। তাঁরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বনের গাছ কেটে বিক্রি করেন। প্রায় প্রতিদিনই ওই এলাকার গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। আর এ সুযোগে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। এসবের পিছনে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ আছে স্থানীয়দের।
অভিযোগের বিষয়ে আনিস বলেন, বাগানের গাছ গুলো আমি কিনে ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিক্রি করতেছি। বনবিভাগের সাথে আমাদের বুঝাপরা হয়েছে।
এ বিষয়ে বারবাকিয়া রেঞ্জের পহরচাঁদা বিট কর্মকর্তা সাঈদী জানান, বিষয়টি জানি না বনবিভাগের জায়গার গাছ কাটলে সরেজমিনে গিয়ে অবস্থা দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিকে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান বলেন আমি ট্রেনিং করতে এসেছি বিষয়টি জানি না তবে বিট কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দেখি কি হয়েছে।