৫৫ হাজার রোহিঙ্গার এনআইডি জালিয়াতি: সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
বিভাগীয় প্রতিবেদক। | মার্চ ২১, ২০২৫ | ০৩:০৩
ছবি: প্রতিবেদক।
সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে ৫৫,৩১০ জন রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুদকের কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় এবং তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও সিন্ডিকেট গঠনের অভিযোগ
দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, হেলালুদ্দীন আহমদ তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেন, যা কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে তদন্তের সূত্রপাত
২০১৯ সালে এক রোহিঙ্গা ডাকাতের কাছে বাংলাদেশি এনআইডি পাওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এলে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। তবে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তখন তদন্ত কার্যক্রম গতি পায়নি। বর্তমানে দুদকের হাতে থাকা নতুন তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান জোরদার করা হয়েছে। এতে তৎকালীন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হেলালুদ্দীন আহমদের ভূমিকা ও গ্রেপ্তার
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হেলালুদ্দীন আহমদ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানে নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে বলে জানা গেছে।