তীব্র জোয়ার -ভাটার উত্তাপ উপেক্ষা করে ১০ সাতারু পাড়ি দিলো মগনামা কুতুবদিয়া চ্যানেল

বিভাগীয় প্রতিবেদক। | নভে ৯, ২০২৫ | ০২:১১
ছবি: প্রতিবেদক।

এস এম জুবাইদ,পেকুয়া :

মগনামা- কুতুবদিয়া চ্যানেলের মগনামা ঘাট থেকে শুরু করে কুতুবদিয়া দ্বীপ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার চ্যানেল পাড়ি দিলো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১০ সাঁতারু।

৮ নভেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টা​ ​বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিং, বোয়াসের আয়োজনে এ সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় ১০ জন সাঁতারু অংশ নেন। তারা হলেন, ফাহিম আহমেদ খান, নাছির আহমেদ, খন্দকার শওকত ওসমান, মোঃ নাজমুল হক, এস আই এম ফেরদৌস আলম, আব্দুল্লাহ আল সাবিত, রাব্বি রহমান, মোঃ মোজ্জিম হোসেন, মোহামদ তাইএয়ার ও মোঃ আল আমিন।

অংশ নেওয়া ১০ জনের মধ্যে ৪ জন পুরোপুরি দূরত্ব সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে ১ ঘন্টা ৪ মিনিটে সবার আগে গন্তব্য স্থান কুতুবদিয়ার দরবার জেটিতে পৌঁছান বগুড়ার ১৮ বছরের তরুণ রাব্বি রহমান। প্রথমবারের মতো চ্যানেল পাড়ি দেয়ার এটাই তাঁর দ্রুততম সময়। এক ঘন্টা ৬মিনিটে পৌঁছে দ্বিতীয় হন ইংলিশ চ্যানেল জয়ী কিশোরগঞ্জের নাজমুল হক।

এ টিমের তৃতীয় সাঁতারু হিসেবে এক ঘন্টা ৭ মিনিটে কুতুবদিয়ার মাটি স্পর্শ করেন বগুড়ার এস.আই.এম ফেরদৌস আলম।

কুতুবদিয়া-পেকুয়া চ্যানেলের তীব্র জোয়ার-ভাটার উত্তাপ উপেক্ষা করে সাঁতারুরা তাঁদের অসাধারণ দক্ষতা ও মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দেন। সকলের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে ইভেন্টটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

সাঁতারু কোর্স এস এম ফেরদৌস আলম বলেন, চ্যানেলের প্রথমে অর্ধেক পাড়ি দেওয়াটা খুব একটা সহজভাবে ছিল। বাকী অংশটা ছিল অনেকটাই কঠিন। কুতুবদিয়া চ্যানেলে এবারই প্রথম পাড়ি দিলাম। আসলে এগুলি দুঃসাহসিক অভিযান। আমি এ পর্যন্ত সাতবার বাংলা চ্যানেলে পাড়ি দিয়েছি। আমাদের এই চ্যানেল সুইমিং এর মূল লক্ষ্য হল পানিতে ডুবে মৃত্যু হার কমাতে সচেতনতা তৈরি করা, সুইমিংয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানো, পানি দূষণ রোধ করা ও নদী ভিত্তিক পর্যটন কে উৎসাহীত করা।

আয়োজকরা জানান, এই ধরনের চ্যালেঞ্জিং ইভেন্ট আয়োজনের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের মধ্যে সাঁতারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। পাশাপাশি, এটি কক্সবাজার অঞ্চলে নদীভিত্তিক পর্যটন এবং ওয়াটার স্পোর্টসকে আরও জনপ্রিয় করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই দুঃসাহসিক প্রতিযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বেশি মানুষকে সাঁতার শিখতে এবং জলপথের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।

এদিকে কুতুবদিয়া চ্যানেল সুইমিং অভিযান শেষে সাঁতারুদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেয়া হয়।

পুরষ্কার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন,পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুজিবুল হক চৌধুরী, সমাজসেবক মোহাম্মদ আজম, গণমাধ্যম কর্মীসহ অনেকই।

ট্যাগঃ

সূত্র: ইন্টারনেট।