নিজস্ব প্রতিবেদক: 

পেকুয়ায় ট্যালেন্ট-হান্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

১৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে চুয়েট কক্সবাজার স্টুডেন্ট’স ফোরাম ও পেকুয়ায় ট্যালেন্ট-হান্ট এসোসিয়েট এর যৌথ উদ্যোগে পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গ্লোরিয়াস এডুকেশন কেয়ারের পরিচালক ও ট্যালেন্ট-হান্ট এসোসিয়েটের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও গ্লোরিয়াস এডুকেশন কেয়ারের সিনিয়র শিক্ষক এম.জেড ওয়াহিদের সঞ্চালনায় ঝাঁকজমকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।  

ফিতা কেটে প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম।

উক্ত প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়েটের সহকারী অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. নুরশেদুল মামুন, 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টেক্স গ্রুপের ডিজিএম বাবলা বিশ্বাস, অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার অয়ন বড়ুয়া, কুতুবদিয়া উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ম.ফ.ম জাহিদুল ইসলাম, পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মজিবুল হক চৌধুরী, পেকুয়া প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোরাদুল কাদের মনির, সাংবাদিক এস এম জুবাইদ, সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যমকর্মী এফ এম সুমন, ছাত্র প্রতিনিধি জিহাদ। 

এ প্রতিযোগিতায় পেকুয়া এবং কুতুবদিয়া উপজেলার ২৫ টি প্রজেক্ট টিমের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে তাদের নিজ নিজ দলের প্রেজেন্টেশন করে এ ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা। দক্ষ বিচারকমন্ডলী দ্বারা প্রত্যেকটি ধাপের মূল্যায়ন করা হয়।  

উপস্থিত বক্তারা বলেন, স্বপ্ন দেখলে হবে না তা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে। এই ধরনের প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী শিক্ষা গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করবে। এখানে বিচারকমন্ডলিরা বলেন ছোটছোট ছেলেমেয়েরা দেশের, সমাজের, বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভাবছে, তাদের মত করে সেসব সমস্যা ভাবছে, তাদের মত করে সেসব সমাধানের চিন্তা করছে এটা দেখা আনন্দের। তারা শুধু প্রজেক্ট মডেল বানানো নিয়ে ভাবেনি, সমস্যাগুলো নিয়ে প্রচুর ব্যাকগ্রাউন্ড স্টাডিও করছে।

পলিথিনের বিকল্প হিসাবে ছত্রাকের ফাইবার ব্যাবহার, স্মার্ট সিটি, বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার প্লান্ট, আবহাওয়া ও জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, কৃষিতথ্য সংগ্রহ এবং আউটারস্পেস পর্যবেক্ষণের জন্য নিজেদের টেকনোলজিতে স্যাটেলাইট পাঠানো, ডিজিটাল ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমের আধুকায়ন, সড়ক থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন লাইনের সমস্যা সমাধান, বাসাবাডিতে গ্যাস লিকেজ এবং অগ্নি ঝুঁকি দূরীকরণ, বহুতল দালানে অগ্নিনির্বাপনে রোবট বানানো, নবায়ণযোগ্য শক্তির ব্যবহার, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য আর্টিফিশিয়াল কালচার মিডিয়াম ব্যবহার করে বহুতল কৃষিব্যবস্থা চালুর মতো এত এত প্রজেক্ট আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সাইমুল ইসলাম ফরহাদ, আদনসহ অনেকই।

পরে বিজয়ীদের মাঝে সম্মাননা স্বরূপ সার্টিফিকেট ও বই উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া ও পেকুয়া ট্যালেন্ট হান্ট বৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কে ক্রেষ্ট, প্রাইজ মানি, সনদ প্রদান করা হয়।