চকরিয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়ায় যৌতুক লোভীর স্বামীর নির্যাতনের পাশাপাশি সন্তানদের লেলিয়ে দিয়ে বেধম মারধর করেছে মাকে। স্থানীয়রা আহত নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাকের মোহাম্মদচর গ্রামে গত ২৭মার্চ’২১ইং সকাল সাড়ে ৮ দিকে ঘটেছে এ ঘটনায় এনিয়ে ভূক্তভোগী ও হামলার শিকার ইয়াছমিন আক্তার (৪৫) বাদী হয়ে তার স্বামী- শাহাব উদ্দিন (৫০), পুত্র আলা উদ্দিন (২৫) ও আছিফ উদ্দিন (১৯)কে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে, অভিযুক্ত ১নং বিবাদী সাহাব উদ্দিনের সাথে ১৯৯১ইং সালে ইসলামী শরীয়াহ মতে বিবাহ হয়। বিবাহের পর বেশ কয়েক বছর সুন্দরভাবে সাংসারিক জীবন অতিবাহিত হলেও পরবর্তীতে স্ত্রীর পিতৃালয় হতে নতুন করে ২লাখ টাকা কারণে-অকারণে টাকা দাবী করে নির্যাতন চালিয়ে আসছে স্বামী। সংসারে ৪ছেলে ও ১ কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামীর সহযোগি হিসেবে মাকে নির্যাতন-মারধর করে যাচ্ছে অভিযুক্ত দুই পুত্র।
ইয়াছমিন আক্তার অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত স্বামীসহ দুই পুত্র সন্তান হওয়া সত্তে¡ও ইতিপূর্বে একাধিকবার মারধর করেন। সর্বশেষ গত ২৭মার্চ’২১ইং সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাষন্ড ও যৌতুক লোভী স্বামীসহ তার (স্বামীর) নির্দেশে অভিযুক্ত দুই পুত্র তাকে (মাকে) উল্লেখিত দুই লাখ টাকার দাবীতে বাড়িতে (শ্বাশুরালয়ে) আটকে রেখে সর্বশরীরে কিল, লাথি, ঘুষিসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধম মারধর করে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে আঘাতের যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে শোরচিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি মোঃ মুছা, ইউপি মেম্বার জালাল উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিনসহ এলাকার লোকজনকে অবহিত করেন। এদিকে দীর্ঘকাল ধরে একজন গৃহীনি তথা স্ত্রী ও মায়ের উপর নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা শুনে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ও ভূক্তভোগী নারী প্রশাসনের কাছে নরপশুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর থানার সহকারি উপপরিদর্শক জসিম উদ্দিনকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।