বিশেষ প্রতিবেদক, চকরিয়া:
চকরিয়ায় আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরে জমিনে ঘটনাস্থল তদন্ত করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে বাদীর ধানি জমিতে কীটনাশক ছিটিয়ে ক্ষেত নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৩০মার্চ বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাসিয়ারকাটা উত্তর মুবিনপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।
অভিযোগে জানাগেছে, বিএমচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাসিয়ারকাটা উত্তর মুবিনপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মো: আক্কাস (৫৫) বিগত ২০০৯সনের ১ জানুয়ারী ২৩নং রেজি: দলিল মূলে বেতুয়া মৌজার বিএস ৩৪০নং খতিয়ানের বিএস ১৯৬৮ দাগ থেকে ৩৮.৫০শতক জমি ক্রয় করেন। এরপর নামজারী জমাভাগ খতিয়ান নং ৬৯৯ সৃজন করেন। জমিতে সেমিপাকা ঘর করে শান্তিপূর্ণ বসবাস করছেন। তন্মধ্যে ২০শতক জমিতে ধান চাষাবাদ করেন। কিন্তু চাষাবাদকালে স্থানীয় কিছু দখলবাজচক্র বাধা সৃষ্টি করলে জমি মালিক বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কক্সবাজারে ১৪৪ ধারার আদেশ চেয়ে গত ২৫জানুয়ারী’২১ইং মামলা নং এমআর ৩০৬/২১ দায়ের করেন। মামলার পর গত ২ ফেব্রুয়ারী’২১ইং উক্ত মামলার বিষয়ে থানার বাদী থানায় অবস্থানকালীন দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে বাদীর পিতা দেলোয়ার হোসেন (৭০) কামলাদের নিয়ে জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে অভিযুক্ত বিবাদীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় তার (পিতার) চিকিৎসা শেষে গত ১১ ফেব্রুয়ারী’২১ইং বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত,চকরিয়ায় মামলা নং সিআর ২১১/২১ দায়ের করেন ভূক্তভোগী মো: আক্কাস। এতে আসামী করা হয়েছে পাহাড়িয়াপাড়ার শের আলমের পুত্র সিরাজুল মোস্তফা, তার ছেলে মুবিন, হাসিয়ারকাটার মৃত আবদুল হাকিমের পুত্র মনছুর আলম ও পাহাড়িয়াপাড়ার মৃত আবদু রহিমের পুত্র মো: শরীফসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে কোর্ট সিএসআই’কে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে চকরিয়া আদালতের সিএসআই মো: সফিকুল ইসলাম ৩০মার্চ’২১ইং বিকাল ৩টায় সরে জমিনে ঘটনাস্থল তদন্তে যান। তদন্তকারী কর্মকর্তা চলে আসার পর অভিযুক্তরা বিকাল ৪টার দিকে চাষাবাদী ২০শতক ধানি জমিতে কীটনাশক ছিটিয়ে চাষাবাদ নষ্ট করে দিয়েছে। ভূক্তভোগী মো: আক্কাস এনিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান। তিনি বিজ্ঞ আদালতসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা চেয়েছেন।