চকরিয়া অফিস:
চকরিয়া পৌর এলাকায় ছাদের উপর দিয়ে ঘরে চুরি করতে ধরা খেল চোর। অপরদিকে চোরকে ছাড়িয়ে নিতে চোরের প্রশ্রয়দাতা আত্বীয় স্বজনরা ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে একই পরিবারের শিশু-নারীসহ ৪জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। এঘটনায় ওই এলাকার মৃত মাষ্টার মোঃ কাশেমের পুত্র শওকত ইসলাম (৪৬) বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এতে আসামী করা হয়েছে মৃত মনিরউল্লাহ’র পুত্র আতাউল্লাহ (৪৭) ও আমানউল্লাহ (৪৫), আবদুল গণির পুত্র জমির (২৬) ও আব্দু রহিম (২৯)তাদের পিতা আবদুল গণি (৫৫), আমানউল্লাহ’র পুত্র রাব্বি (২০)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনকে।
বাদী শওকত ইসলাম দায়েরকৃত অভিযোগে জানান, গত ৪এপ্রিল’২১ইং রাত অনুমানিক সাড়ে ১১ ঘটিকার দিকে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ির ছাদে ট্যাংক হতে পানি সরবরাহে সমস্যা দেখা দিলে তিনি উঠেন। কিন্তু ছাদে উঠে দেখতে পানে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক চোর রাতে বাড়ি চুরি করার জন্য পানির ট্যাংকের পাশে আত্মগোপনে থাকেন। তাকে দেখেই চোর দৌড়াইয়া পালানোর চেষ্টা করলে তিনি চোর চোর বলে চিৎকার দেন। ওই সময় চোরকে দৌড়াইয়া ধরে ফেলে ও স্থানীয় লোকজন জড়ো গয়ে গণধোলাই দেন। পরবর্তীতে চোরের পরিচয় শনাক্ত হয়। সে কাকারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড পাহাড়তলী গ্রামের নুরুল আমিনের পুত্র আনসার উদ্দিন প্রকাশ মারবেল। সে হালকাকারা গ্রামের এক বাড়ির মেয়ের জামাই। উক্ত সূত্র ধরে চোরের আত্বীয় স্বজনরা জড়ো হয়ে ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে রাতের আধারে ছাড়িয়ে নেয়। পরবর্তীতে ঘর চুরি করতে যাওয়ার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার আত্বীয় স্বজনরা ক্ষিপ্ত ও ক্ষুদ্ধ হয়ে ৫এপ্রিল’২১ইং সকালে প্রাণ নাশ ও ঘর ডাকাতির হুমকি, পরে বিকাল ২.৪৪ ঘটিকার দিকে অভিযুক্তরা দা, কিরিচ, লোহার রড়, লাঠি-সোটা, চোরা ইত্যাদি নিয়ে বাদী শওকত ইসলামের বসতবাড়ি ভিটায় অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের আমার স্ত্রী, সন্তান, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলায় আহত আবুহানা মোস্তফা কামালের স্ত্রী আকলিমা ফারজানা (৩২), শওকত ইসলামের মেয়ে ইফ্রিতা ইসলাম (১৪), ছেলে ওয়াফি ইসলাম (০৭)কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সেবা কন্ট্রোল রুমের ৯৯৯তে ফোন করলে, চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেন। ঘটনার সময় আহত আকলিমা ফারজানা গলায় থাকা ২০ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন মূল্য ৮৫,৫০০টাকা, ইফ্রি ইসলামের কানে থাকা ৬ আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের কানফুল মূল্য ২৬,২৫০ টাকা এবং আফরোজা সুলতানার ক্যাশ টাকা ১০ হাজার টাকা ছিনেয়ে নিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ৯৯৯ নাম্বারের ফোন পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী পরিবারের শওকত ইসলাম বাদী হয়ে দায়েরকৃত এজাহারটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।