চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা অবৈধভাবে জমি দখল নিতে জমা মালিকদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ৪ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হাজিয়ান এলাকায় ১৮ এপ্রিল (রবিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা।
এ ঘটনায় মরহুম মৌলানা ইদ্রিছ আহমদের পুত্র নুরুল আবছার খাঁন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামী করা হয়েছে; একই এলাকার মাে: ইলিয়াছের পুত্র মাে: নুরুল আমিন (৩৮), জাকের আহামদ (৫২), নুরুল আজিম (৪৩) ও আবদুল মন্নান (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে।
বাদী নুরুল আবছার তার অভিযোগে জানান, খােয়াজ নগর মৌজার বি.এস ৪১নং খতিয়ানের বি.এস ৬, ১২, ১৮ দাগাদীর আন্দরে ৮৩ শতক জমি রয়েছে তাদের পৈত্রিক ও খরিদা সূত্রে। দীর্ঘ অনেক বৎসর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে ভােগ দখলেও রয়েছেন। তাদের নামে বি.এস রেকর্ডও চূড়ান্ত ভাবে রয়েছে। অভিযুক্ত সম্প্রতি সময় থেকে উক্ত জমি জবর দখল চেষ্টায় মেতে উঠে। দূর্লোভের বশীভূত হয়ে জমি জবর দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করতে থাকলে, আমার পিতা জীবদ্দশায় নিরুপায় হয়ে কক্সবাজার ২য় সাব জজ আদালতে ৯জুন’০৩ অপর মামলা নং- ৯৩/২০০৩, দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আমাদের পক্ষে রায় হয়। কিন্তু আসামীগণ উক্ত মামলার আপীল মামলা নং- ১৬৭/২০০৩ দায়ের করেন। উক্ত মামলার বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন মামলা নং- ৪২০০/২০১৭ দায়ের করা হয়। মামলার আলােকে মহামান্য হাইকোর্ট আসামীগণের অপর মীচ মামলা নং- ১৬৭/২০০৩ এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। তাতে ক্ষিপ্ত ও ক্ষুদ্ধ হয়ে অভিযুক্তরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ১৮এপ্রিল’২১ইং দুপুর ২.৩০ ঘটিকায় ধারালাে দা, কিরিচ, লােহার রড ও লাঠি ইত্যাদি অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অনধিকার প্রবেশ করে জোর পূর্বক দোকান ঘর নির্মাণ করতে থাকলে, তাতে বাঁধা দিলে হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত হয়েছেন জমি মালিক নুরুল আবছার খাঁন (৫০), মাে: নুরুল হুদা(৩৫), আমান খান(৪০), আরমান চৌধুরী (৩৭)।আহতদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তন্মধ্যে নুরুল হুদা(৩৫)র অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আসামীগণ বর্তমানেও হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, বাদীপক্ষের লিখিত এজাহারটি পাওয়ার পর একজন উপপরিদর্শককে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।