চকরিয়া অফিস:
ঘটনা চিংড়ি খাস জমি জবর দখল নিয়ে। মামলা দায়ের ভিলিজারের। আসামীকে চিনেন না বাদী। এরপরও আসামীর তালিকায় এলাকার নিরীহ দুই পরিবারের ৪জন। ঘটনাটি ঘটেছে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং এলাকায়। তবে, পুরো অভিযোগের তীর এমপি’র পিএস পরিচয় দেয়া অনুপ্রবেশকারী যুবলীগ নেতা হাসানুল ইসলাম আদরের দিকে।
প্রাপ্ত তথ্যে ও ভূক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে জানায়, ২৮মার্চ’২১ রাতে রিংভং এলাকায় বনভূমি লাগোয়া কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের খাস খতিয়ানভূক্ত একটি চিংড়ি ঘের জবর দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহসহ বেশ কয়েক গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়। ওই ঘটনায় স্থানীয় মৃত শাহাব উদ্দিনের পুত্র নুরুল আমিন হেডম্যানকে বাদী সাজিয়ে ২এপ্রিল’২১ চকরিয়া থানায় মামলা (নং ২,জিআর ১৩৪) দায়ের করেন। মামলায় ৮জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১৫জনকে আসামী দেখানো হলেও ঘটনায় কোন মতেই সম্পৃক্ত ছিলেননা ৩,৪,৬ ও ৮নং আসামী। যা বাদীও জানেনা কারা আসামী হচ্ছে।
একদিকে, স্থানীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে অনুপ্রবেশকারী যুবলীগ নেতা এমপির সাবেক পিএস দাবীদার হাসানুল ইসলাম আদর মামলার বাদীর সাথে গোপন আতাতে আসামী করেন ডুলাহাজারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও রিংভং গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন এবং তার পিতা রব্বত আলীকে। সম্প্রতি তাকে মামলা থেকে বাদ দিতে ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সড়কে মানববন্ধনও করেন।
অপরদিকে, রিংভং ছগিরশাহকাটা গ্রামের খলিল আহমদের পুত্র ছরওয়ার আলম মুন্সি ও নুরুল কবিরের পুত্র আবুল কালাম পারিবারিক জমি-জমা পূর্ববিরোধকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত হাসানুল ইসলাম আদরের সাথে আর্থিক লেনদেনে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে মামলায় আসামী করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বান্দরবান সরকারী কলেজ ছাত্র কৃতি ফুটবলার মো: আরাফাত ও তার পিতা মো: ইদ্রিছকে। যা ইতিমধ্যে বাদী, আহত আমান ও আদরসহ স্থানীয়দের আলাপকালে ও মোবাইল ফোনে কল রেকর্ডে নিশ্চিত হন। এমনকি কল রেকর্ডে ও প্রকাশ্য জনসম্মুখে ছরওয়ার আলম মুন্সি গং হুমকি দেন আদরকে ব্যবহার করে থানা পুলিশকে দিয়ে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেবেন এবং বাড়িতে অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে যেকোন মূল্যে ফাঁসাবেন। এছাড়াও এলাকার সকল ব্যবসায়ীকে হুমকি দিচ্ছেন মো: আরাফাত ও তার পিতা ইদ্রিছকে যেন কোন খাদ্য সামগ্রী মালামাল বিক্রি কিংবা সম্পর্ক না রাখেন। ফলে গ্রেফতার আতংক ও হুমকিতে নিরীহ পরিবার এলাকা ছাড়া হয়ে পড়েছেন। মো: আরাফাত ও তার পিতা ইদ্রিছ জানিয়েছেন, উল্লেখিত ছরওয়ার আলম মুন্সি গং মামলা দিয়ে ইতিমধ্যে চাষাবাদী জমি টুকুও জবর দখলে নিয়েছেন। বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে জানান। এছাড়াও হাসানুল ইসলাম আদরের বিরুদ্ধে রয়েছে, জমি জবর দখল, চিংড়ি ঘের দখল, পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি, নদী-ছড়াখাল থেকে অবৈধ উপায় বালু লুট, মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ লোকজনকে হয়রাণী, হুমকি দিয়ে নানা অজুহাতে টাকা আদায়সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তারা আদর বাহিনী ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় পেতে উর্ধতন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ পূর্বক আইনী সহায়তা চেয়েছেন। এনিয়ে এসব ভূক্তভোগি পরিবার সাংবাদিক সম্মেলনও করেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি হয়েছে। নিরীহ কোন ব্যক্তিকে আসামী করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ###