বিশেষ প্রতিবেদক,চকরিয়া:
ব্র্যাকসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে স্বামীর নেয়া ঋণের টাকার সুদ পরিশোধ করতে না পেরে এবং স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ৩ সন্তানের জননী এক গৃহবধুর আত্নহত্যা করেছে। ২৯ মার্চ দিবাগত রাত (পবিত্র শবে বরাতের রাতে) সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খন্দকারপাড়ায় ঘটেছে এ ঘটনা। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা গ্রামের মোঃ সেলিম উদ্দিন। বিগত ৩বছর পূর্বে স্ত্রীর পিতৃালয়ের পাশে^ কাহারিয়াঘোনায় সুদের উপর টাকা ঋণ নিয়ে ১০কড়া জমি ক্রয় করে বসতী গড়ে তুলে সেলিম। সংসারে রয়েছে ২ছেলে ও ১ কন্যা সন্তান। নানা অভাব অনটনসহ প্রায় ২লাখের অধিক ঋণের টাকায় সুদ এসেছে অনেক গুণ। বার বার মহাজনি নিয়মে মূল টাকার অধিক সুদের টাকা পরিশোধ করে আসলেও আসল টাকার সাথে গাণিতিক হাতে বৃদ্ধি হতে থাকে সুদ। সম্প্রতি কিস্তিতে নেয়া স্বামীর চালিত ট্রলি গাড়ীটিও আটকে রাখে স্থানীয় সুদি মহাজনরা। ফলে সংসারে অভাবে একদিকে স্ত্রীর উপর স্বামীর অমানবিক নির্যাতন, অন্যদিকে স্বামীর নেয়া ঋণের সুদের টাকার জন্য প্রতিদিন স্ত্রী সেলিনা আক্তারের উপর সুদি মহাজনদের মানষিক চাপ। এসব কিছু সহ্য করতে না পেরে ৩ সন্তানের জননী গৃহবধু সেলিনা আক্তার (৩২) নিজ বাড়ির সিলিংয়ের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আত্নহত্যা করেন। সে করাইয়াঘোনা খন্দকারপাড়া এলাকার মরহুম জাকের মেম্বারের কন্যা। ঘটনার খবর পেয়ে থানার উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেনেরে নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছেঁ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে রাত ১টার দিকে লাশ থানায় নিয়ে আসে। ঋণ নেয়া সুদি মহাজনদের মধ্যে রয়েছে পৌরসভার বাটাখালীর রুজিনা, খোন্দকানপাড়ার বাচু বেগম, তার বোন মরিয়ম, মনির আহমদ ও ব্র্যাকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, আত্মহত্যায় নিহত গৃহবধু সেলিনা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। ##
ব্র্যাকসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে স্বামীর নেয়া ঋণের টাকার সুদ পরিশোধ করতে না পেরে এবং স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ৩ সন্তানের জননী এক গৃহবধুর আত্নহত্যা করেছে। ২৯ মার্চ দিবাগত রাত (পবিত্র শবে বরাতের রাতে) সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর কাহারিয়াঘোনা খন্দকারপাড়ায় ঘটেছে এ ঘটনা। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা গ্রামের মোঃ সেলিম উদ্দিন। বিগত ৩বছর পূর্বে স্ত্রীর পিতৃালয়ের পাশে^ কাহারিয়াঘোনায় সুদের উপর টাকা ঋণ নিয়ে ১০কড়া জমি ক্রয় করে বসতী গড়ে তুলে সেলিম। সংসারে রয়েছে ২ছেলে ও ১ কন্যা সন্তান। নানা অভাব অনটনসহ প্রায় ২লাখের অধিক ঋণের টাকায় সুদ এসেছে অনেক গুণ। বার বার মহাজনি নিয়মে মূল টাকার অধিক সুদের টাকা পরিশোধ করে আসলেও আসল টাকার সাথে গাণিতিক হাতে বৃদ্ধি হতে থাকে সুদ। সম্প্রতি কিস্তিতে নেয়া স্বামীর চালিত ট্রলি গাড়ীটিও আটকে রাখে স্থানীয় সুদি মহাজনরা। ফলে সংসারে অভাবে একদিকে স্ত্রীর উপর স্বামীর অমানবিক নির্যাতন, অন্যদিকে স্বামীর নেয়া ঋণের সুদের টাকার জন্য প্রতিদিন স্ত্রী সেলিনা আক্তারের উপর সুদি মহাজনদের মানষিক চাপ। এসব কিছু সহ্য করতে না পেরে ৩ সন্তানের জননী গৃহবধু সেলিনা আক্তার (৩২) নিজ বাড়ির সিলিংয়ের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আত্নহত্যা করেন। সে করাইয়াঘোনা খন্দকারপাড়া এলাকার মরহুম জাকের মেম্বারের কন্যা। ঘটনার খবর পেয়ে থানার উপপরিদর্শক মোশারফ হোসেনেরে নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছেঁ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে রাত ১টার দিকে লাশ থানায় নিয়ে আসে। ঋণ নেয়া সুদি মহাজনদের মধ্যে রয়েছে পৌরসভার বাটাখালীর রুজিনা, খোন্দকানপাড়ার বাচু বেগম, তার বোন মরিয়ম, মনির আহমদ ও ব্র্যাকসহ বিভিন্ন সংস্থা।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, আত্মহত্যায় নিহত গৃহবধু সেলিনা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। ##