চকরিয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী, তরুণ সমাজসেবক নবী হোছাইন চৌধুরীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও প্রকাশ্য দিবালোকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দেয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার (৪এপ্রিল) বিকালে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়িস্থ নবী হোছাইনের নিজস্ব ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি সময়ে তার বিরুদ্ধে চকরিয়ার পার্শবর্তী পার্বত্য লামা থানায় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মনগড়া ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি ইতিমধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তাঘাট সংস্কার, নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি ইউনিয়নের দারিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মেয়েদের বিয়ে, অসহায় মানুষদের আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয়ভাজন ব্যক্তি হিসেবে আস্থা অর্জন করেছি।
আপমর জনগণের ভালাবাসায় সাড়া পেয়ে, এলাকার জনগণের স্বার্থে ও তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে আগামী ইউপি নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বিপুল সংখ্যক জনতাকে সাথে নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযােগ ও নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষানিত হয়ে অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সমাজের চিহ্নিত অপরাধীদের ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে।
আমি ও আমার পরিবার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাহারবিল ৯নম্বর ওয়ার্ডের কোরালখালী পূর্ব পাড়া মৃত নুরুল আমিনের ছেলে মো: আলমগীর ও একই এলাকার আকবর আহমদের ছেলে মো: কামাল নামের ফেসবুক আইডি থেকে একেরপর এক বানোয়াট মিথ্যাচার ও কাল্পনিক কথা লিখে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরকারের বিরুদ্ধে তার ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর দায়ে ইতিপূর্বে গ্রেফতার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে চকরিয়া থানায় ৭টি মামলা রয়েছে।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আলমগীর ও কামাল তার এলাকার নাজেম উদ্দিন সওদাগরের চিংড়ি প্রজেক্টে থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ তুলে ধরেন। পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডস্থ ছোয়ারফাঁড়ি নয়াপাড়া গ্রামের নাজেম উদ্দিনের পুত্র লালু প্রকাশ লালাইয়া তার লালিত চোর ডাকাত দিয়ে তিনি চুরি ডাকাতি করায়। কিছুদিন আগে তার বাহিনী দিয়ে বদরখালী থেকে দুটি গরু চুরি করে নিয়ে আসে। ওই গরু দুটি আমার মাধ্যমে মালিকের কাছে হস্তান্তর করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এখন পাগলের প্রলাপ ছড়াচ্ছে। লালুর নামে ও ডাকাতি মামলা সহ অনেক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডলনির ঘোনা পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ইব্রাহিমের ছেলে মাহাবুবুর রহমানে ঘর ডাকাতির চিহ্নিত আসামী। গত ৩১ মার্চ আলমগীর ও তার বাহিনী আমার চোঁয়ারফাড়ি বাজারস্থ অফিসে এসে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গুলি চালায়। অন্যদিকে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে আমি গুলি চালাচ্ছি বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়, যদিও ঘটনার দিন আমি বাটাখালী এলাকায় ছিলাম। এ ব্যাপারে আপনারা (সাংবাদিক) নিজেরাই খোজ খবর নিতে পারবেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিলে জানতে পারবেন, কাদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অত্র ইউনিয়নের কোরালখালী পূর্বপাড়া, ৯নং ওয়ার্ডের আকবর আহমদের পুত্র কামাল (৩৭), বেলাল (৪২), বাবু (৩২)এরা তিনজনই আপন সহোদর। তাদের তিন ভাইয়ের নামে থানায় ও আদালতে ডজন খানেক মামলা রয়েছে। চিহ্নিত বহুমামলার এসব আসামীরা আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন প্রার্থীর পরোক্ষ মদদে ও প্ররোচনায় একের পর এক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ বিভিন্ন ভাবে প্রচার করে যাচ্ছে। তাছাড়া আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণে হত্যার হুমকি ও সামাজিক যোগাযােগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মানসম্মান ক্ষুন্ন করে আসন্ন ইউপি নির্বাচনের চেয়াম্যান প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়াতে নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমি চিহ্নিত বহু মামলার এসব আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে বিনীত আবেদন করছি। তাছাড়া আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখার বিষয়ে উল্লেখিত মো: আলমগীরের বিরুদ্ধে ৪ এপ্রিল ২০২১ ইং আমি বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। পরবর্তীতে অপরাপর জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন।##