চকরিয়া প্রতিনিধি:
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের দক্ষিণ পাশে^ পূর্ব মাইজপাড়ায় বগাছড়ি ছড়ার উপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ,কক্সবাজারের নির্মিত বেইলী ব্রীজ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও পরিত্যাক্ত নিন্মমান সামগ্রী ব্যবহারের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তদারকির দায়িত্ব নেয়া হাসানুল ইসলাম আদর। সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক মানবকন্ঠ প্রতিনিধি আবদুল মজিদ ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ উল্লাহকে মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন আদর। পরবর্তীতে নির্মাণকাজে অনিয়মের সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও অনলাইনে প্রচার হলে আরো ক্ষেপে যান অনিয়মকারী এই আদর। এনিয়ে ২৩ এপ্রিল’২১ রাতে সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ, আবদুল মজিদ, মনসুর মহসিন ও শাহজালাল শাহেদসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরীর আবেদনও করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হাসানুল ইসলাম আদর ডুলাহাজারা ইউনিয়ন ছাত্রদল থেকে যুবলীগে অনুপ্রবেশ করে চকরিয়ার আওয়ামীলীগের এক বড় নেতার আশির্বাদে অল্প দিনের ব্যবধানে বাড়ি, গাড়ী, নারী, জায়গা-জমিসহ বিপুল সম্পদের মালিক বনে যান। চকরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নামে-বেনামে রয়েছে অসংখ্য ঠিকাদারী কাজ। এছাড়াও রয়েছে, অবৈধ উপায়ে মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করে সরকারি-বেসরকারী বিভিন্ন প্রকল্পে বিক্রি, পাহাড় ও বনভূমি কেটে মাটি লুট, সরকারি প্রকল্পের নয়-ছয় করে অর্থ হরিলুটসহ অভিযোগে পাহাড়। থানার সম্মুখে রয়েছে তার আলীশান অফিস। যা আওয়ামীলীগের দু:সময়ে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করা কোন নেতাকর্মীর নেই। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় চকরিয়াবাসী ও দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
নিন্দা প্রকাশ: অনুপ্রবেশকারী হাসানুল ইসলাম আদর কর্তৃক ৪জন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজন সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় কথিত সাধারণ ডায়েরীর আবেদন করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চকরিয়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হক, সিনিয়র সহসভাপতি এমএইচ আরমান চৌধুরী, সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন ফারুক, সহসভাপতি মুকুল কান্তি দাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম বেলাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক জহিরুল আলম সাগর, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খোকন, ক্রীড়া সম্পাদক জামাল হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অলি উল্লাহ রনি, আপ্যায়ন সম্পাদক এসএম হান্নান শাহ, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক রিদুয়ানুল করিম, নির্বাহী সদস্য এসএম হানিফ, ইকবাল ফারুক, আবদুল মতিন চৌধুরী, ফেরদৌস ওয়াহিদ, জুনাইদ উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম সাইফসহ ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। নেতৃবৃন্দরা অবিলম্বে সাংবাদিকদের হুমকিদাতা নানাবিধ প্রকল্পের নামে সরকারি অর্থ আত্বসাতকারী ডুলাহাজারার হাসানুল ইসলাম আদরের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। অন্যথায় এর কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, হুমকিদাতা হাসানুল ইসলাম আদরের বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ ও সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কচির জানান, সাংবাদিকদের হুমকির বিষয়টি প্রমাণিত হলে উশৃংখল আচরণের দায়ে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন যুবলীগের সদ্য পাওয়া যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হবে।